সামরিক শাসন ও সামরিক রাজনীতি সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যয়ন ইতিবাচক নয়। সেক্ষেত্রে সমসাময়িক তৃতীয় বিশ্বে জিয়াউর রহমান একটি ব্যতিক্রমধর্মী নাম। তিনি সামরিক অভ্যুত্থান করেননি, সামরিক আইনও জারি করেননি। ১৯৭৫-এ ৭ নভেম্বরের গৌরবময় সিপাহী-জনতার বিপ্লব তাঁকে ক্ষমতার পাদপিছে নিয়ে আসে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত অভিধাকে অতিক্রম করে তিনি অর্জন করে বৈধতা, গ্রহণযোগ্যতা ও নিয়মতান্ত্রিকতা। ‘টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, জিয়া ছিলেন দেশ জুড়িয়া’। আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তিনি স্মরণীয় বরণীয়। দেশীয় ও বৈদেশিক শক্তির ষড়যন্ত্রে এই মহান রাষ্ট্রনায়ককে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার আগেই প্রাণ দিতে হয়। ১৯৭৫ থেকে ‘৮১ পর্যন্ত এই স্বল্প পরিসরে যে রাষ্ট্রনায়কোচিত দৃষ্টান্তবলি তাঁকে অমর করে রেখেছে, এরই এক সংক্ষিপ্ত সংযোজন হচ্ছে এই গ্রন্থ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আবদুল লতিফ মাসুম এই গ্রন্থে জিয়াউর রহমানের সাহসী স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে নির্মম শাহাদাতের ঘটনাবলী বর্ণনা করেছেন। জিয়াউর রহমানের জাতিসত্তার পুনর্গঠন প্রয়াস, বহুদলীয় গণতন্ত্রে উত্তরণ, নবতর উন্নয়ন কৌশল, সফল পররাষ্ট্রনীতি এবং ব্যক্তিজীবনের অনেক অজানা অধ্যায় সন্নিবেশিত হয়েছে এই গ্রন্থে। গ্রন্থটি অনুসন্ধিৎসু নাগরিক সাধারণের পঠনপাঠন এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির পরিপূরক হিসেবে বিবেচিত হবে।
Reviews
There are no reviews yet.